বৈদ‍্যবাটীতে ১০০ কেজি গাঁজা সহ গ্ৰেপ্তার ৪ জন

11th February 2020 হুগলী
বৈদ‍্যবাটীতে ১০০ কেজি গাঁজা সহ গ্ৰেপ্তার ৪ জন


 হুগলির বৈদ্যবাটী এনসি ব্যানার্জি রোডের প্রান্তিক এলাকায় রাহুল জয়সওয়াল বাড়িতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার হানা দেয়  চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ।  রহুল জয়সওয়াল  সহ তিন জনকে আটক করে পুলিশ। বাড়ির উল্টো দিকে গ্যারেজে রাত ভোর তল্লাশি করে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। পুলিশের কাছে খবর ছিল ইট, বালি,  এবং লোহার রডের আড়ালে পাইকারি ও খুচরা গাঁজা  ব্যবসা চালাচ্ছে। তাই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা এবং শেওড়াফুলি  ফাঁড়ির পুলিশ দীর্ঘদিনের নজর রেখেছিল তার উপর। সূএের খবর সে দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা ব্যবসা সাথে যুক্ত ছিল।  পুলিশ সূত্রে খবর রাহুল জয়সওয়াল ছাড়াও বৈদ্যবাটি তেতুলতলার ধানমাঠ  এলাকায় শুভজিৎ মজুমদার, চন্দনগরের প্রদীপ দাস এবং বড়া  চাঁপাতলার শুভঙ্কর দে,  রাহুলের বাড়ি থেকে গাঁজা সহ হাতেনাতে ধরে ফেলে।  এরা প্রত্যেকেই রাহুলের গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং গাঁজা কেনা বেচা তাদের মাধ্যমে চলতো।  রাহুল জসওয়ালকে  এর আগেও একই কেসে সিঙ্গুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।  আজ সন্ধ্যায় তাদের চার জনকে  গ্রেফতার করা হয়।  বুধবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে।  এই ব্যবসার পিছনে আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।